বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

দস্যুনেতা এখন জেলে : রূপান্তরের গল্প 

Reading Time: < 1 minute

মুরাদ হোসেন:
সুন্দরবনের শতশত দস্যু-ডাকাতদের স্বাভাবিক জীবনে এনেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মহসিন-উল-হাকিম। । মঙ্গলবার(১৪ মার্চ) সে ঘটনার ব্যক্তিবিশেষ রুপান্তরের ৫ম গল্প লিখে নিজের ফেসবুক ওয়ালে ছবিসহ পোস্ট করেছেন তিনি। সেটা হুবহু তুলে ধরা হলো: ২০১১ সালে ওহিদ বড় মিয়ার সঙ্গে পরিচয়। সুন্দরবনের ভিতরে, তখন সশস্ত্র ডাকাত তিনি। ছোট মিয়া রাজুর বড় ভাই ওহিদ মোল্লার দস্যু জীবন আর ফেরারি জীবন মিলিয়ে ৩০ বছর হবে। অনেক বার ফিরে আসার চেষ্টা করেছেন। সম্ভব হয়নি।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি ফেরারি জীবন থেকে আবারও দস্যু জীবনে ফিরেন। বড় ভাই বাহিনীর ভয়ে জেলেরা কোণঠাসা। একবার নিল কমলের বাইরে সাগর থেকে দুটি ট্রলার অপহরণ করে এই দস্যু দল। সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে সাহেবরা একটি অপ্রপ্রচার রটিয়ে দেন। বলা হয় বেলায়েত সরদার নাকি এর সঙ্গে জড়িত। আমি ছুটে গেলাম বনে। দেখা করলাম এই দস্যু দলের সঙ্গে। শিবসা নদীর বাওনে একটি খালের ভিতরে পৌঁছালাম, বেশ রাত হলো। আমাদের ট্রলার থেকে নামিয়ে নিলো দস্যুরা। তারপর ট্রলারের ভিতরে তল্লাসী নেয়া হলো। আমরা অন্ধকারে হেঁটে চললাম দস্যুদের ডেরায়।
বড় ভাই এর সঙ্গে দেখা হলো সরু এক খালের মধ্যে। সেখানে রাখা ট্রলারে কাটলো পুরো রাত, গল্প আর আড্ডায়। জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের সঙ্গে বেলায়েত সরদারের সম্পর্ক কী? জানলাম সাহেবদের সেই অভিযোগ পুরোটাই বানোয়াট। বেলায়েত সরদারকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা অংশ ছিলো সেই অপপ্রচার। যাই হোক সেই রটনা আর ধোপে টিকেনি শেষ পর্যন্ত।  আত্মসমর্পণ করবে সবাই কিন্তু এখনই না। আমি বললাম সময় দিবো না। দলের সবাই না করলো। কিন্তু ওহিদ বড় ভাই শুনলেন আমার কথা। তার এক সপ্তাহের মাথায় তাদের নিয়ে আসলাম জঙ্গল থেকে।
বয়স হয়েছে। শরীর চলে না। তারপরও সংসার চালানোর ভার তাঁর ঘাড়ে। জেলখানা থেকে বের হয়ে তাই মাছ ধরতে নামলেন তিনি। সেদিন সুন্দরবনের এক খালে দেখা হলো বড় ভাই এর জেলে বহরের সঙ্গে। রূপান্তরের এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল। তবে এই রূপান্তর বাঁচিয়ে দিয়েছে দস্যুদের। বেঁচে গেছে বন আর সাগরের জেলে বাওয়ালীরা। বেঁচে গেছে সুন্দরবন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com